নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড সারাই বালারঘাট মাস্টারপাড়া ব্রিজের নিচে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের সপ্ন ছিলো একটি মাদ্রাসা করার।এলাকাবাসীর উদ্দোগে জমিজামা সবকিছু ঠিক করে মাদ্রাসার ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে কিন্তু হঠাৎ কাজে বাধা প্রদান করে বহিষ্কৃত সেনা সদস্যে খাইরুজ্জামান।বহিষ্কৃত সেনা সদস্যে খাইরুজ্জামানের দাবী যে যায়গাতে মাদ্রাসার কাজ শুরু হয়েছে সেই জায়গা তার পৈত্রিক সম্পত্তি তাই তিনি সেখানে কোন প্রকার কাজ করতে দিবেন না।এর রেশ ধরে এলাকায় কিছুদিন উত্তেজনা বিরাজ করে কিন্তু এলাকাবাসী মাদ্রাসার কাজের পক্ষে অবস্থান নিলে তা খাইরুজ্জামানের সহ্য হয় না তিনি তার সাঙ্গোপাঙ্গ কে নিয়ে মাদ্রাসার উদ্দোক্তা মোহাম্মদ আলী কে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর অতর্কিত হামলা করে।পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে মোহাম্মদ আলী নিজ বাসায় অবস্থান করছেন।
উক্ত মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির আকুতি কান্না দেখে নিজের অজান্তে চোখের কোণায় পানি চলে আসবে যে কোন মানুষের।এলাকাবাসীর দাবী দ্রুত মাদ্রাসার কাজ শুরু করে এলাকায় ইসলামী শিক্ষা ব্যাবস্থা চালু করতে কিন্তু হঠাত তাদের এ কাজে বাধা প্রদান করায় অনেকেই ক্ষুদ্ধ সেই বহিষ্কৃত সেনা সদস্য খাইরুজ্জামানের উপর।
এপিয়ার টিভির অনুসন্ধানে জানা গেছে খাইরুজ্জামান মোটরসাইকেল চুরির মূল হোতা এবং তার বিরুদ্ধে ডজন এর ও বেশী মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ আছে মোটরসাইকেল চুরির কারনে সেনা সদস্যের চাকুরি থেকে বহিষ্কার হন তিনি অনেক আগে তিনি আইন ও মানবাধিকার সদস্যের নাম ভাংগিয়ে , জাল বিড়ি & বর্ডার পাশ মটর বাইকের ব্যবসা করে আসছেন এবং বেশ কয়েকবার জেলে ও গিয়েছেন।মোহাম্মদ আলীর করা মামলায় বর্তমানে তিনি একটি মামলায় জেলে রয়েছেন।
মাদ্রাসার উদ্দোক্তা মোহাম্মদ আলী জানান,জমির সকল কাগজ ঠিক করে আমরা মাদ্রাসার কাজ শুরু করলেও খাইরুজ্জামান হঠাত মাদ্রাসার কাজ কেন বন্ধ করে দিলেন আমি তা জানি না আমরা এলকাবাসী উদ্দোগ নিয়েছিলাম এলাকায় যদি একটি মাদ্রাসা হয় তাহলে এলাকার কোমলমতি শিশুরা ইসলামী শিক্ষা পাবে মাদ্রাসার কাজ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি উপেক্ষা করে আমি কাজ চালিয়ে গেলে আমার প্রাণনাশের হুমকি দেয় খাইরুজ্জামান কিন্তু আমি কাজ চালিয়ে গেলে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর দলবল নিয়ে হামলা করে আমাকে গুরুত্বর জখম করে আমি এবং এলাকাবাসী এর বিচার চাই এবং মাদ্রাসার কাজ দ্রুত শুরু করতে মাদ্রাসার কার্যক্রম শুরু করতে চাই।
বর্তমানে উক্ত জমি নিয়ে হারাগাছ থানায় মামলা চলমান রয়েছে যার মামলা নং ৫/১৩৭ তাই এলাকাবাসীর দাবী দ্রুত আইনি নিষ্পত্তি ঘটিয়ে মাদ্রাসার কার্যক্রম চালু করার।