নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চিকিৎসক স্ত্রীকে নির্যাতন ও যৌতুক মামলায় রংপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক ( সাবেক) দেবাংশু কুমার সরকারসহ পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল এই পরোয়ানা জারি করেন।
বিচারক দেবাংশু কুমার সরকার ছাড়াও অন্য আসামীরা হলেন, তার বাবা সুধাংশু কুমার সরকার (৬০) এবং তাদের আত্মীয় ময়মনসিংহ জেলার গোলপুকুরপাড়া গ্রামের চন্দন দের ছেলে নিলয় দে সরকার (২৭) ও হালুয়াঘাট উপজেলার আকনপাড়া গ্রামের সুধীর কুমার সরকারের ছেলে রঞ্জন সরকার (৫০)।
অভিযুক্তরা ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট বাজার পূর্ব গ্রামের বাসিন্দা।
সরকার পক্ষের আইজীবি খন্দকার রফিক হাসনাইন জানান, ৩০ লাখ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে ডা. হৃদিতা সরকার তার স্বামী দেবাংশু সরকারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এ মামলা করেন গত বছরের ১৭ এপ্রিল। আদালত ২১ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেন। কিন্তু ওইদিন বিচারক না থাকায় পরবর্তীতে ২৪ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল বাদীর জবানবন্দি রেকর্ডের পর মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলায় বলা হয়, হৃদিতা সরকার রংপুর মেডিকেল থেকে এমবিবিএস পাস করার পর বর্তমানে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত আছেন। ২০১৫ সালের ১১ মে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে স্বামী ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। পরে বাদীর বাবা ৫০ ভরি সোনাসহ ২৫ লাখ টাকার উপহার সামগ্রী দেন। বিয়ের কিছুদিন না যেতেই আসামি পুনরায় একটি নতুন গাড়ি কিনে দেওয়ার জন্য ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় বাদীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান।