বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন

খবরের শিরোনাম :
চিকিংসক স্ত্রীর মামলায় বিচারক স্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রংপুরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ঘটনায় ১ যুবকের ১১ বছর কারাদণ্ড প্রধানমন্ত্রীর সহযোহিতায় রংপুরকে তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো………. মেয়র মোস্তফা তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৬ শতাধিক আবারও জাতীয় দলে ফিরছেন নাসির! বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মনে হয় না—- জি এম কাদের নাশকতার অভিযোগে রংপুর নগরীতে শিবিরের ৬ নেতা-কর্মী গ্রেফতার রংপুর মেডিকেলের বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তদন্তে দুদক দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পাতাল রেল হবে আরেকটি মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে পদযাত্রা বন্ধ করে নির্বাচনের দিকে যাত্রা করতে বললেন ওবায়দুল কাদের
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু উফশী প্রকল্প কর্মকর্তা- কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু উফশী প্রকল্প কর্মকর্তা- কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বঙ্গবন্ধু পাট চিন্তা ও সোনালী আশেই সোনার বাংলাদেশর সৃষ্টি। এদেশের অর্থনীতিতে এক সময় পাটের অবস্থা ছিল প্রানভোমরার মতো। আগে বৈদেশিক মুদ্রার সিংহভাগ আসত পাট ও পাটজাত রপ্তানি থেকে। সোনার পাটেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ সৃষ্টি, কারন বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ও পাট এই তিন টি শব্দ একান্তরঅ পাটের সোনালি আশেঁর জন্যই বাংলাদেশের নাম হয়েছে সোনার বাংলা। পাকিস্তানি আমলে বাংলাদেশের কৃষক অনেক পরিশ্রম করে পাট উৎপাদন করলেও তার সিংহভাগ অর্থ পশ্চিম পাকিস্তান নিয়ে যেত। বছরের পর বছর পূর্বক পাকিস্তান আঞ্চলিক ভিত্তিতে ক্রমাগত রাজনৈতি ক্ষমতা ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের ড়োজাল থেকে মুক্তির পথবেচেঁ নিয়ে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালে ছয় দফা উথাপন করেন। দফার মধ্যে উন্নতম একটি দফা পাটের ন্যায্য মূল্য।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ¯^- পরিবারে হত্যার পর পাটখাতে নেমে আসে ভয়াবহ বিপর্যয়। পাট শিল্পকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দেওয়া হয়। বিকল্প হিসাবে সিনথেটিক পন্যের ছড়াছড়ি করনে বাংলাদেশের পাট হয়েছে তার গৌরব। বর্তমান বঙ্গবন্ধুর সুৃযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাসিনা পাটের গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহন করছেন। যাহার মধ্যে উফশী প্রকল্প অন্যতম। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে পাট চাষ বৃদ্ধি, উন্নত মানের বীজ উৎপাদন, চাষীদের প্রশিক্ষনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করে আসছিল।
উচ্চ ফলনশীন পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং উন্নত পাটপচন শীর্ষক (উফশী) সমাপ্ত প্রকল্পে আমরা কর্মরত ছিলাম। আরও উল্লেখ্য যে, পিটিশনারগণ প্রকল্পের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে লিখিত, মৌখিক পরিক্ষায় উর্ত্তীন হয়ে সরকারি সকল বিধান মেনে প্রকল্পের চাকরিতে যোগদান করে। দীর্ঘ ৬ বছর প্রকল্পের চাকরী করে বাস্তব অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রকল্পের ডিপিপিতে ( ঈড়সঢ়ষবঃরড়হ ঃযব ঢ়ৎড়লবপঃ ওহপষঁফরহম ধপঃরাধঃবং সধহঢ়ড়বিৎ হববফং ঃড় নব ঃৎধহংভবৎৎবফ রহ ঃযব ৎবাবহঁব নঁফমবঃ) মেয়াদ শেষে রাজ¯^ খাতে স্থানান্তরের কথা উল্লেখ রয়েছে। দীর্ঘ দির অতিবাহিত হওয়ার পর পাট অধিদপ্তর কর্তৃক ডিপিপি অনুযায়ী রাজ¯^ খাতে স্থানান্তর না হওয়ায় আমার মাহামান্য হাইকোর্টে রিটপিটিশন নং- ৬৬১৭/১৭ ইং তারিখ- ০৩/০৮/২০১৭ ইং ফর লিভ টু আপিল নং- ৪২৭৪/২০১৭ তারিখ- ১৫/০৩/২০১৭ ইং, রিভিউ ২৭২/২০১৮ তারিখ- ০৫/০৮/২০১৮ ইং তারিখে ১৫৮ জন পিটিশনারদের রাজ¯^ খাতে স্থানান্তরের রায় আদেশ প্রদান করেন। কিন্তু ১৫৮ জনের মধ্যে মাত্র ২৪ জনকে একতরফাভাবে পাট অধিদপ্তর রাজ¯^ খাতে স্থানান্তর করেন। অথচ পাট অধিদপ্তরের প্রায় ৪ শতাধিক পদ শূন্য আছে। উক্ত উচ্চ আদালতের রায় / আদেশের পরে পিটিশনারদের একটি প্রতিনিদি দল পাট অধিদপ্তরের মহা- পরিচালক বরাবর আবেদন পত্র জমা দিতে গেলে তাহার ব্যক্তিগত সহকারী আবেদনপত্র জমা নিতে অ¯^ীকার প্রকাশ করেন। এমতাবস্থায় মহা- পরিচালক মহোদয় একাধিকবার সাক্ষাত লাভে ব্যর্থ হই। মহা পরিচালক মহোদয়ের ব্যক্তিগত সহকারী প্রতিনিদি দলের সাথে র্দূব্যবহার যাহা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এ বিষয়ে পাট অধিদপ্তরের অনেকেই অবগত আছে।
অবশিষ্ট ১৩৪ জনের মধ্যে ১২৪ জন বিভিন্ন গ্রæপে কন্টেম মামলা দাখিল করে। অবশিষ্ট পিটিশনারদের কেন রাজ¯^ খাতে স্থানান্তর করা হবে না এই মর্মে পাট অধিদপ্তরে ২ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। পাট অধিদপ্তর মহা- পরিচালক কতৃর্ক ২৮/০৭/২০১৯ ইং তারিখের, ২৪.০১.০০০০.০৪.০৪.০১৫.১৯-৯৭ নং স্মারকে ৩৯১/২০১৯ নং কন্টেম মামলার জবাব দাখিল করা হলে মহামান্য র্কোট তা নাকোচ করে পিটিশনারদের ৭ (সাত) কর্ম দিবসের মধ্যে পাট অধিদপ্তরে রাজ¯^ খাতে নিয়মিতকরণ/ আত্তীকরনে আদেশ প্রদান করেন। কিন্তু দীর্ঘ ০২ বছরেও উক্ত আদালতে রায় বাস্তবায়ন করেনি পাট অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক। মহামান্য কোর্ট পূনরায় ১১/০১/২০২২ ইং তারিখে পিটিশনারদের ২৫/০১/২০২২ ইং তারিখে রাজ¯^ খাতে নিয়মিত করনে নির্দেশ প্রদান করেন। বার বার উচ্চ আদালতের রায় / নির্দেশের পরেও পাট অধিদপ্তরের মহা- পরিচালক পিটিশনারদের চাকরী রাজ¯^ খাতে স্থানান্তরে গড়িমসি করে আসছে।
পাট অধিদপ্তরে বর্তমানে কর্মরত মূখ্য পরির্দশক, সহকারি পরিদর্শক পদে কর্মরত আছে তাদের অধিকাংশ এস.সি.বিএ.বি কম, এম কম, ডিগ্রী ধারী রয়েছে। এক্ষেত্রে কর্মরত জনবল এবং রিটকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন পার্থক্য নেই। উল্লেখ্য পাট অধিদপ্তরের উ-পরিচালক (প্রঃ ও অর্থ) মূখ্য পরির্দশক, পরির্দশক, সহকারি পরির্দশক পদ তিন টি টেকনিক্যাল পদ নয় মর্মে একপত্রে উল্লেখ করেন। এছাড়া সরকার পক্ষের নিয়োগকৃত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ্যাডভোকেট অন রেকর্ড সুফিয়া খাতুন “ হাইকোর্ট বিভাগের রিটটিশিন নং ৬৬১৭/২০১৭ ইং প্রদত্ত রায়/ আদেশে পর্যালোচনা করে প্রত্যয়ন পত্র দেন, যে জবয়ঁরংরঃব ছঁধষরভরপধঃরড়হ “ হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে উল্লেখ আছে তা রিট পিটিশনদের পাট অধিদপ্তরে কর্তৃক পরিচালিত (উফশী) শীর্ষক সমাপ্ত প্রকল্পের ডিপিপির জবয়ঁরংরঃব ছঁধষরভরপধঃরড়হ হিসেবে গন্য হবে এবং প্রদত্ত রায়/ আদেশ পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, শুন্য পদ থাকা ¯^াপেক্ষে দ্রতিতর (ঊীঢ়বফরঃরড়ঁংষু) সময়ের মধ্যে রিটকারিদের রাজ¯^খাতে (শুণ্যপদে) স্থানান্তরের কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে রিটপিটিশনারদের সকলে র্শিক্ষাগত যোগ্যতা মিল আছে।
প্রকল্পের আত্তীকরন বঞ্চিত ১২৪ জন কর্মচারির উপর নির্ভরশীল ১২৪ টি পরিবার। ইতিমধ্যে এই সকল কর্মচারিদের সরকারি বয়সসীমা অতিক্রম করায় সরকারি বা অন্য কোন চাকরিতে প্রবেশ করার সুযোগ নাই। র্দীঘ দিন যাবৎ এই ১২৪ টি পরিবার অর্ধহারে অনাহারে মানবেতর জীবন-যঙাপর করছে। আমাদে চাকরি অনিশ্চয়তার মাধ্যে থাকায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ, মানসিকভাবে বিপর্যস্থ ও দুঃশ্চিন্তাগ্রস্থ হচ্ছি। ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া ও প্রেস মিডিয়া প্যিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা আপনাদের সদয় হস্তক্ষেপে আমাদের এই দূর্দশা থেকে পরিত্রান করতে পারি সে বিষয়ে দৃষ্টি দিলে আমরা কৃতার্থ হব।
পরিশেষে মহামান্য হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, রিভিউ এবং কন্টেম এর রায়/ আদেশের আলোকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তাসহ ১২৪ জনের চা

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

© ২০১০-২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক মায়াবাজার.কম
Developed BY Rafi It Solution