নিউজ ডেক্সঃ
নগরীর লালবাগ হাটে মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ তুলে সাগর নামে এক মাংস বিক্রেতাকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) নগরীর লালবাগ হাটের মাংস বিক্রির পট্টিতে সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে চলা উত্তজনা চলে বেলা ১২ টা পর্যন্ত। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ, ভেটেরিনারি টিম, ব্যবসায়ী সমিতি, মাংস বিক্রেতাসহ সংশ্লিষ্টরা বসে বিষয়টির সমাধান করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ব্যবসায়ী সমিতির সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ৯ টার দিকে নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকায় তৈয়বুর রহমান নামে এক মাংস বিক্রেতা দুই মণ দশ কেজি ওজনের একটি গরু জবাই করেন মাহিগঞ্জ বাজারে। সেই মাংস তৈয়বুর রহমানের কাছ থেকে সাগর নামে আরেক মাংস বিক্রেতা লালবাগ হাঁটে এনে বিক্রি শুরু করেন।
তবে ওই মাংস মরা গরুর বলে প্রচারণা চালায় সাগরের চাচা প্রতিবেশী মাংস বিক্রেতা আনিছুর রহমান। পরে তিনি লালবাগ হাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুকে জানায়। এই ঘটনা মহুর্তের মধ্যে লালবাগ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। একপর্যায়ে সেখানে পুলিশ, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত হন।
এসময় অভিযুক্ত মাংস বিক্রেতা সাগর মিয়া জানান, আমি নিজে সামনে থেকে মাহিগঞ্জ থেকে সুস্থ গরুর মাংস কিনে নিয়ে আসছি। প্রতিদিনের মতো লালবাগ হাটে বিক্রি শুরু করি। কিন্তু হুট করে চাচা আনিছুর মিয়া আসি কইতেছে এটা নাকি মরা গরুর মাংস। সবাইকে আমার দোকানে মাংস না কেনার কথা বলে। ব্যবসায়ী সমিতি থেকে শুরু করে পুলিশ কে মিথ্যা অভিযোগ দিছে। আমাকে হেনস্তা করার চেষ্টা করছে আমার চাচা। আসলে আমার চাচা চায় আমি যেন এখানে ব্যবসা করতে না পারি।
লালবাগ হাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন, আমাকে জানানোর পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়, প্রাণি সম্পদক বিভাগ আসে। এসে সবাই দেখেছে মাংসটি মরা গরুর নয়। এখানে জবাই না হওয়ায় পাবলিক সেন্টিমেন্ট তৈরি হয়। পরে মাহিগঞ্জের মাংস মাহিগঞ্জে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলে আসা মহানগর পুলিশের তাজহাট থানার উপ পরিদর্শক ওবায়দুল হক জানান, আমরা খবর পেয়ে সাড়ে ১১ টার দিকে আসি। পরে প্রাণি সম্পদ বিভাগের চিকিৎসক এসে পরীক্ষার পর জানান, মাংসগুলো মরা গরুর নয়। পরে বিষয়টি মিটমাট হয়। বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
এদিকে জবাই করা গরুটি মরা ছিলনা বলে নিশ্চিত করেন রংপুর সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্ম ডাঃ এএসএম সাদেকুর রহমান।