নিউজ ডেক্সঃ
রংপুরের মাহিগঞ্জে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি অভিযুক্ত মসজিদের ইমাম মাহফুজুর রহমান নয় বলে জানিয়েছে র্যাব। র্যাব-১৩ এর মিডিয়া সেলের সহকারী পরিচালক অধিনায়ক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার (৯ মে) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া থেকে মাহফুজুর রহমান সন্দেহে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে অভিযুক্ত মাহফুজ নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে র্যাব।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত মাহফুজুর রহমান গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চকলেট খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবেশী তিন বছরের একটি শিশুকে নিজের শোয়ার ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশু ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করছিল র্যাব ১৩।
শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত মাহফুজুর রহমান সম্পর্কে স্থানীয়রা বলছেন, এর আগেও সে পীরগাছার গুঞ্জরখাঁ গ্রামে অবস্থিত বাইতুস সালাম মাদরাসায় শিক্ষকতা করার সময় ৮ বছরের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় কারাগারে ছিলেন। পরে মাহফুজ কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে তার এক আত্মীয় প্রভাবশালী মাওলানার সহায়তায় শিক্ষার্থীর পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে সে মামলা মীমাংসা করে নেন। মাস দুয়েক আগেও তার ভাতিজার অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন।
জানা যায়, অভিযুক্ত মাহফুজ স্থানীয় নাগদাহ কেরামতিয়া মসজিদের ইমাম। তিনি বিবাহিত এবং তার ছয় মাসের একটি পুত্রসন্তান আছে। মাহফুজ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কওমি ও হাফেজিয়া মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। তিনি হেফাজতে ইসলামের সাথে জড়িত বলেও জানাচ্ছে এলাকাবাসী।
তবে মাহফুজের স্ত্রী সাথি বেগম সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছেন, তার স্বামী নির্দোষ এবং ষড়যন্ত্রের শিকার। তাকে এর আগেও ফাঁসানো হয়েছে, এবারও তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। সাথী বলছেন, তার স্বামী হেফাজতের সাথে নয়, তাবলিগ জামাতের সাথে জড়িত। তিনি মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকেন বলেও দাবি তার।