বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০৪ পূর্বাহ্ন

খবরের শিরোনাম :
চিকিংসক স্ত্রীর মামলায় বিচারক স্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রংপুরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ঘটনায় ১ যুবকের ১১ বছর কারাদণ্ড প্রধানমন্ত্রীর সহযোহিতায় রংপুরকে তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো………. মেয়র মোস্তফা তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৬ শতাধিক আবারও জাতীয় দলে ফিরছেন নাসির! বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মনে হয় না—- জি এম কাদের নাশকতার অভিযোগে রংপুর নগরীতে শিবিরের ৬ নেতা-কর্মী গ্রেফতার রংপুর মেডিকেলের বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তদন্তে দুদক দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পাতাল রেল হবে আরেকটি মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে পদযাত্রা বন্ধ করে নির্বাচনের দিকে যাত্রা করতে বললেন ওবায়দুল কাদের
গাইবান্ধা থেকে পায়ে হেঁটে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় পৌঁছালেন বাবা ও ছেলে।

গাইবান্ধা থেকে পায়ে হেঁটে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় পৌঁছালেন বাবা ও ছেলে।

 

বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন (অনারারী) সাদেক আলী সরদার (৬৫) ও ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৩২)।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সন্ধা ৬টায় হাতীবান্ধা উপজেলা চত্ত্বরে প্রবেশ করেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল গাইবান্ধা থেকে পায়ে হেটে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা আসা।

এর আগে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারী) ভোর ৫ টায় গাইবান্ধা থেকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

বাবা ও ছেলে। ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে লালমনিরহাট শহরে এসে পৌঁছান তারা রাত ১০ টায়। এর পর হাতীবান্ধার উদ্দেশ্যে রওনা করেন।

গাইবান্ধা হতে লালমনিরহাটে হাতীবান্ধার দুরত্ব ১৫০ কিলোমিটার।

এনিয়ে মোট তারা ইতোমধ্যে ১ হাজার ১২৪ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়েছেন বাবা-ছেলে। শখ এবং শরীর চর্চা তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। এর আগে ৩৫ বার পায়ে হেঁটে বিভিন্ন স্থানে গিয়েছেন তারা। এটি তাদের ৩৬তম মিশন। টানা ৩৬ বার তাদের এ পথ চলা। পরবর্তীতে তাদের সফর পঞ্চগড়, সিলেট ও কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে।

জানা গেছে,২০০৬ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন ক্যাপ্টেন সাদেক আলী সরদার। বাড়িতে এসে বসে সময় কাটাতে ভাল লাগে না তার এবং শরীরও যেন অকেজো হয়ে পড়ছে। শরীরকে ঠিক রাখতে প্রথমে গাইবান্ধা জেলার সকল উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নে একা একা হাঁটতে শুরু করেন তিনি। ক্যাপ্টেন সাদেক আলীর দুই ছেলে এক মেয়ে, মেয়ে বড়, তার বিয়ে দিয়েছেন অনেক আগে। তিনি গাইবান্ধার ছালুয়া ফজলে রাব্বী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। মেজো ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান এজজন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা। আর ছোট ছেলে তিনিও একজন সেনাবাহিনীর মেজর হিসেবে সিলেট সেনানিবাসে কর্মরতত আছেন। দুই ছেলের সাথে তার বন্ধু সুলভ সম্পর্ক, ছেলেরাও বাবার সাথে সময় দিতে ভালবাসেন। এ কারনে বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বাবার পায়ে হেটে এ পথ চলার সাথী হয়েছেন এবং বাবাকে সঙ্গ দিতে ও তার শখ পুরনে সফর সঙ্গী হয়েছেন মেজো ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান। বগুড়া, রংপুর, পীরগঞ্জ এবং গাইবান্ধার সব উপজেলা সহ বিভিন্ন স্থানে বাবাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি।

ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাবার প্রতি ভালবাসাটাই এখানে কাজ করেছে আমার, উনাকে আমি আমার বন্ধুর মতো দেখি। ছোট বেলা থেকে আমরা দুই ভাই বাবার সাথে বন্ধুর মতো চলি। বাবার বয়স হয়ে গেছে, তাই তাকে একলা ছাড়তে পারি না।
বাবার সাথে পায়ে হেঁটে পথ চলছি, এতে করে আমার শরীরেরও চর্চা হচ্ছে। শরীর ঠিক রাখতে শরীর চর্চার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি। আগামীতে আমাদের আরও অনেক জায়গায় যাওয়ার পরিকল্পনা আছে।

আমরা গাইবান্ধা হতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায়১৫০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে পাড়ি দিয়ে আসলাম।

তিনি আরও বলেন, আমাদের একটা লক্ষ ও উদ্দেশ্য নিয়ে পায়ে হেটে ভ্রমন। তবে এখনে ভ্রমণের মূল উদ্দেশ্য না বললেও আগামীতে অনেক আরও দেশ ছেড়ে বিদেশেও পথ পাড়ি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন সাদেক আলী সরদার বলেন, আমি আর্মির রিটায়ার্ড অফিসার, পথ চলতে ভয় করি না।

আমি ৩৩ বছর চাকুরী করে বাড়িতে এসে বসে বসে সময় কাটাতে ভাল লাগে না। বসে বসে থাকার কারনে শরীরও যেন অকেজো হয়ে পড়ছে। শরীরকে ঠিক রাখতে প্রথমে গাইবান্ধা জেলার সকল উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নে একা একা হাঁটতে শুরু করি। আজ ১৫০ কিলোমিটার পায়ে হেটে হাতীবান্ধায় আসলাম। এটি আমাদের ৩৬ তম মিশন। টানা ৩৬ তম মিশনে আমাদের বাবা-ছেলেও এ পথ চলা। পরবর্তীতে আমরা পঞ্চগড়, সিলেট ও কক্সবাজারসহ আরও বিভিন্ন স্থানে পথ পাড়ি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

© ২০১০-২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক মায়াবাজার.কম
Developed BY Rafi It Solution