মঙ্গলবার, ০৬ Jun ২০২৩, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন

খবরের শিরোনাম :
চিকিংসক স্ত্রীর মামলায় বিচারক স্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রংপুরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের ঘটনায় ১ যুবকের ১১ বছর কারাদণ্ড প্রধানমন্ত্রীর সহযোহিতায় রংপুরকে তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো………. মেয়র মোস্তফা তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৬ শতাধিক আবারও জাতীয় দলে ফিরছেন নাসির! বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মনে হয় না—- জি এম কাদের নাশকতার অভিযোগে রংপুর নগরীতে শিবিরের ৬ নেতা-কর্মী গ্রেফতার রংপুর মেডিকেলের বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তদন্তে দুদক দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পাতাল রেল হবে আরেকটি মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে পদযাত্রা বন্ধ করে নির্বাচনের দিকে যাত্রা করতে বললেন ওবায়দুল কাদের
রংপুরে চাঞ্চল্যকর শরিফ হত্য দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।

রংপুরে চাঞ্চল্যকর শরিফ হত্য দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রংপুরের গঙ্গাচড়ার লক্ষিটারী ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়িহাটে চাঞ্চল্যকর খুনের শিকার কৃষক শরিফ মিয়ার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেছে পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন তারা এ অভিযোগ জানান।

কাশিয়াবাড়িহাটে প্রকাশ্যে বল্লম দিয়ে কুপিয়ে শরিফের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত রফিকুল ইসলামসহ অন্যদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার মা সহ পরিবারের লোকজন।

এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন, আসামি রফিকুলের হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় পরিবারের প্রত্যেক সদস্য।

সংবাদ সম্মেলনে শরিফের বৃদ্ধা মা সোবেদা বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ছেলে আশরাফুল ইসলাম। এ সময় অপর ছেলে একরামুল ইসলাম, মৃত শরিফের স্ত্রী রেজিনা বেগম, নাতি লিটন খান, মিলন খান ও শিউলি বেগম, কন্যা নারজিনা বেগম, পুত্রবধূ হাওয়া বেগম, আম্বিয়া বেগমসহ পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, জমির বিরোধ নিয়ে ২৪ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে রাত আনুমানিক ৮টার দিকে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষিটারী ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়িহাটে শরিফ মিয়াকে (৫২) চায়ের দোকানে বল্লম দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকারী চরইশরকুল গ্রামের নেছাব উদ্দিনের ছেলে চিহ্নিত মাদক কারবারি রফিকুল ইসলামসহ (৪৫) ৩৪ থেকে ৩৫ জনের একটি দল। এ ঘটনায় নিহতের ভাই এমদাদুল হক গঙ্গাচড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করলে পুলিশ ১৯ সেপ্টম্বর ২০১৬ তারিখে আদালতে রফিকুল ইসলামসহ ১৮ জনের নামে অভিযোগ জমা হয়। আদালতের বিচারক সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ এবং জেরা শেষে আগামী ২৯ মে ২০২২ তারিখে মামলাটির আর্গুমেন্টের তারিখ ধার্য করেছেন।

এ বিষয়ে আসামী পক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে মামলায় অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম বলেন আমি শরিফ হত্যার সাথে জড়িত নই আমাকে সেই মামলায় ফাসানো হয়েছে আমার নামে তারা যে সকল মামলার কথা উল্লেখ্য করেছে সব মামলা থেকে আমি খালাস পেয়েছি শরিফ ছিলো একজন পেশাদার গরুচোর ও খুনি তাই তার শত্রুরা তাকে হত্যা করেছে কিন্তু আমাকে সেই মামলায় ফাসানো হয়েছে।আমি এলাকায় বিচার-শালিসের কাজ করি সেটা তাদের সহ্য হয় না এর আগে ও একাধিক মামলায় আমাকে ফাসানো হয়েছিলো কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমি সেগুলো থেকে বের হতে পেরেছি ইন্সা আল্লাহ শরিফ মার্ডারের মামলা থেকেও বেকসুর খালাস পাবো।কারন সত্যের জয় নিশ্চিত।

আর শরিফের পরিবার কে হুমকি প্রদর্শন করার বিষয় আস্বিকার করে রফিকুল বলেন আমি গ্রামে আছি যার কারনে এলাকায় অপরাধ-অপকর্ম করার সাহস পাচ্ছে না কেউ আমি আমার এলাকার মানুষকে নিজের পরিবারের মত দেখি সেখানে শরিফের পরিবার কে হুমকি দেয়ার প্রশ্ন উঠে না যেহেতু শরিফ নেই তার ইতিম পরিবার কে দেখার দায়িত্ব পুরো এলাকাবাসীর এবং নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব আমাদের সকলের।

এলাকাবাসী আলহাজ্ব মওলানা বশির উদ্দিন আহাম্মেদ জানান,সেদিন কাশিয়াবাড়ি হাট ছিলো হঠাত করে কে বা কারা এসে শরিফ কে কুপিয়ে চলেযায় বাজারের হাজার হাজার মানুষ তাদের চিন্তে পারে না কিন্তু পরে শুনি রফিকুল নাকি মার্ডার করেছে রফিকুল যদি মার্ডার করতো বাজারের কেউ না কেউ তো তাকে চিনতো আর শরিফুল ছিলো জঘন্য একজন মানুষ সে পুলিশের ও অস্ত্র ছিন্ত্রাই করেছিলো সে একাধিক হত্যার সাথে জড়িত তাই তার শত্রুরা তাকে হত্যা করেছে কিন্তু যেই হত্যার সাথে জড়িত থাকুক তার বিচার চান তিনি।

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রফিকুলের দাবী সে নির্দোষ কিন্তু শরিফের পরিবারের দাবী হত্যা করেছে রফিকুল তাই সুষ্ট তদন্ত্রের মাধ্যমে মূল ঘটনা উম্মোচনের দাবী কাশিয়াবাড়ি এলাকাবাসীর।

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

© ২০১০-২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক মায়াবাজার.কম
Developed BY Rafi It Solution